চট্টগ্রামের রাউজানে মসজিদ নিয়ে বিরোধে গুলির ঘটনায় করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শেখ আলমগীর নামে ওই আসামিকে বুধবার বিকেলে নগরীর মিমি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি রাউজান পৌরসভার পশ্চিম গহিরা এলাকার বাসিন্দা।
শেখ আলমগীর গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্বে শাহাবুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় করা মামলার পাঁচ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার শেখ আলমগীরকে আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
এর আগে ১৪ এপ্রিল দুপুরে রাউজানের পশ্চিম গহিরায় মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্বে কাউন্সিলরের গুলিতে শাহাবুদ্দিন খান নামের এক ব্যক্তির আহত হওয়ার কথা জানান তার ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের বাড়ির পাশের মসজিদটি পারিবারিক বলে দাবি করে আসছিলেন স্থানীয় ছোট আলমগীর, ইসমাইল, ইব্রাহিম, বশর এবং শিপু। এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে তারা মসজিদ কমিটি গঠন করার কথা বললে বিরোধ তৈরি হয়।
তিনি জানান, ১৪ এপ্রিল ওই পক্ষ পারিবারিকভাবে মসজিদ সংস্কার করতে চাইলে তারাও কাজে অংশ নিতে যান। অপর পক্ষ রাজি না হওয়ায় তারা কমিটি না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। পরে বিরোধী পক্ষ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর আলীকে ফোন দেয়।
মামুন দাবি করেন, ফোন পেয়ে কাউন্সিলর আলমগীর তার দুই ভাই রাশেদ আলী ও এরশাদ আলীকে নিয়ে সেখানে আসেন ও তাদের দিকে গুলি ছোড়েন। এতে তার ভাই শাহাবুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলি করার অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর আলমগীর জানান, গত অক্টোবরে তার বাবা আলী আজম মসজিদ কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় মারা যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মসজিদটির দায়িত্ব দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এলাকার কিছু মানুষ মসজিদটি দখলের চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার রাতে তারাবীহ নামাজ পড়ার সময় গরমে কষ্ট হওয়া এবং মসজিদের প্রবেশ পথ ছোট হওয়ায় তারা সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
তিনি দাবি করেন, বুধবার মসজিদটির প্রবেশ পথ, এসি, বিদ্যুৎ ও টাইলসের কাজের জন্য কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু দুপুরে স্থানীয় মামুন, শাহাবুদ্দিন ও রিদোয়ান মসজিদের কাজ বন্ধ করতে চাইলে স্থানীয়রা তাদের গণপিটুনি দেয়। এ সময় কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি।
ছবিতে অস্ত্র হাতে একজনকে দেখা গেছে জানিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই সময় কাউকে অস্ত্র হাতে দেখিনি।’
ঘটনার পরদিন কাউন্সলিরসহ নয় জনকে আসামি করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্বে গুলি, আহত এক